সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ ও অর্থ সহ

 সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ ও সাইয়েদুল ইস্তেগফার অর্থ সহ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ ও অর্থ সহ


আসালামুআলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম, সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ ও সাইয়েদুল ইস্তেগফার অর্থ সহ, ছবি এছাড়াও পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন, চলুন শুরু করা যাক ।

চলুন প্রথমেই দেখা যাক।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

চলুন এবার দেখা যাক।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার উচ্চারণ বাংলাঃ Sayyidul istighfar bangla: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

চলুন তাহলে এর অর্থ জেনে নেওয়া যাক।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার অর্থ বাংলা

সাইয়েদুল ইস্তেগফার অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’। [105]

[105] . বুখারী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার নিয়ম

পড়ার নিয়ম 

  • সকালে ও
  • সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা।
  • ফজর ও
  • মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা।

কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে। (বুখারি)

এ কারণেই কোরআন ও সুন্নাহতে বেশি বেশি তাওবাহ ইসতেগফার করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কেননা গোনাহমুক্ত জীবনের অন্যতম উপায় হচ্ছে তাওবাহ ও ইসতেগফার করা। আল্লাহতাআলা ঘোষণা করেন-

- وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا

  • যে গোনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
  • (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫-১৪৬)

وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

  • হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর ফজিলত

  • কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচল থাকে।’ (সুরা: ত্বহা, আয়াত ৮২)
  • অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।’ (সুরা: নিসা, আয়াত ১১০)

সাইয়েদুল ইস্তেগফার ভিডিও



শেষকথা

ধন্যবাদ সবাইকে, আজকের এই সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ ও অর্থ সহ পোস্টটি পড়ার জন্য,  এমন আরো পোস্ট করার জন্য পোস্টটি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url