মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - ১১টি উপায় জেনে নিন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? এটা যদি আপনার প্রশ্ন হয়, তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য, আজকের সময়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা আর কাজ করা সহজ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের অভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন না, কিন্তু আপনি যদি এই পোস্টটি পড়েন, তাহলে আপনার কাছে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করাটা একদম সহজ হবে। এখানে আমরা আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ১১টি উপায়, চলুন শুরু করা যাক।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য, আমি এই পোস্টে ১১টি উপায়, এর বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন এবং, এই ১১টি উপায় জেনে আজই কাজ শুরু করবেন, এবং ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। যদি আপনাদের ধৈর্য এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার মনে মানসিকতা থাকে, চলুন ১১টি উপায় জেনে নেওয়া যাক।- অনলাইন কোর্সঃ মোবাইল ব্যবহার করে 10minute school, Udemy, Coursera, বা Skillshare-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্স কিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- ইউটিউব ভিডিওঃ ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- ফেসবুক গ্রুপঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ফেসবুক গ্রুপে যোগদান করুন এবং সেখানে থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- ব্লগ পড়াঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত ব্লগ এবং আর্টিকেল পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ব্লগ।
- পডকাস্ট শোনাঃ ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে পডকাস্ট শুনে নতুন কিছু শিখতে পারেন।
- মোবাইল অ্যাপসঃ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস ডাউনলোড করুন, যেমনঃ Fiverr, Upwork, এবং সেখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে করে তা দেখুন।
- ট্রেনিং সেশনঃ অনলাইন লাইভ ট্রেনিং সেশনে অংশগ্রহণ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- নেটওয়ার্কিংঃ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- চ্যালেঞ্জ গ্রহণঃ মোবাইলে থাকা কাজের চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করুন এবং সেগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- নিজের প্রোজেক্ট তৈরি করাঃ নিজের একটি প্রোজেক্ট শুরু করুন এবং মোবাইলের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করাঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং গ্রুপ ফলো করুন, যেখানে নতুন নতুন টিপস ও ট্রিকস শেয়ার করা হয়, সেখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
১। ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে শেখা
ইউটিউব হলো একটি বিশাল শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। শুধু আপনার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবো, বা নির্দিষ্ট কোনো কাজের নাম লিখে সার্চ করুন, এবং প্রয়োজনীয় টিউটোরিয়াল দেখে শিখুন। উদাহরণ হিসেবে আপনি, মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন, অথবা, মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং, লিখে যদি ইউটিউবে সার্চ দেন, এবং যে ভিডিও গুলো আসবে তা দেখে সহজেই শিখতে পারেন। একবার ভিডিও দেখে বুঝতে না পারলে, বারবার দেখতে থাকুন এবং সঙ্গে সঙ্গে প্র্যাকটিস করতে থাকুন। প্রতিটি ভিডিও শেষে আপনি কিভাবে কাজ করবেন তা একটি খাতায় লিখে রাখুন।২। মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ ব্যবহার
Fiverr, Upwork, Freelancer, PeoplePerHour-এর মতো বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলো মোবাইলে কাজ করার জন্য সহজ। এগুলোতে আপনাকে ছোট গিগ (কাজ) দেওয়া হয়, যেখানে মোবাইল থেকেই সহজেই কাজ করতে পারবেন, বড় সেক্টরে যাওয়ার আগে, ছোট ছোট জায়গায় আগে কাজ করতে থাকুন। আপনি Fiverr-এ ৫ ডলারের বিনিময়ে ছোট ব্লগ পোস্ট লিখে দিতে পারেন, বা Upwork-এ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে পারেন। এটি আপনার অভিজ্ঞতা হবে এবং ছোট ছোট ইনকাম হবে।৩। ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম
অনলাইন কোর্সের জন্য 10 minute school, Udemy, Coursera এবং Google Digital Garage-এ রয়েছে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। Udemy এবং Coursera-এর ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলোতে, সাধারণত ভিডিও টিউটোরিয়াল থাকে, কোর্স শেষ হলে সার্টিফিকেটও দেয়া হয়। মোবাইলের মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় এই কোর্সগুলোর ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন।৪। ফেসবুক ও ফ্রিল্যান্সিং ফোরাম
ফেসবুক গ্রুপ এবং ফ্রিল্যান্সিং ফোরাম থেকে, আপনি অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। সেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য দারুণ টিপস পাবেন, এবং আপনার প্রশ্নের উত্তরও পাবেন। উদাহরণ হিসেবে, Bangladesh Freelancers, বা Fiverr Success Tips, গ্রুপগুলোতে যোগ দিয়ে আপনি সহজে সাহায্য পেতে পারেন। গ্রুপে আপনার সমস্যা প্রশ্ন করুন এবং নতুন আপডেটের সঙ্গে থাকুন, কারণ এখানে আপনি, নতুন কাজের সন্ধান এবং টুলস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন।৫। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেরা কিছু কাজ
মোবাইল দিয়ে সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়। নিচে এমন কিছু কাজের উদাহরণ দেয়া হলোঃ- কনটেন্ট রাইটিংঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট লেখালেখি করা।
- গ্রাফিক ডিজাইনঃ Canva, Pixlr এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে ডিজাইন কাজ করা।
- ভিডিও এডিটিংঃ InShot এবং Kinemaster এর মতো অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে ভিডিও এডিট করা।
৬। ফ্রিল্যান্সিং শেখার ফ্রি কোর্স
ফ্রি কোর্সের মধ্যে Udemy, Coursera, Google Digital Garage-এর মতো সাইটগুলিতে ভালো মানের কোর্স পাওয়া যায়। এমনকি অনেক জনপ্রিয় YouTube চ্যানেলেও বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়। উদাহরণ হিসেবে, Traversy Media বা CodeAcademy, অথবা, khalid Farhan এর চ্যানেল থেকে সহজেই ফ্রি কোর্স করা যায়, এবং অনেক ভালো কিছু ফ্রিতে শেখা যায়।৭। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু সাইট
আপনি Fiverr, Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এ সাইটগুলোতে মোবাইল দিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন, এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা সময় নিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে নতুন কাজ খোঁজার অভ্যাসে পরিণত করুন। নতুন কাজের জন্য নিজের প্রোফাইল নিয়মিত আপডেট করুন।৮। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মোবাইল স্ক্রিন ছোট হওয়ার কারণে বড় ধরনের কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। যেমনঃ- কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ, যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা বড় ভিডিও এডিটিং মোবাইল দিয়ে করা কঠিন।
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মতো দ্রুত মাল্টি-টাস্কিং করা মোবাইল দিয়ে সম্ভব নয়।
৯। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম সুবিধা হলো, আপনি যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও, মোবাইল হলো সহজে নিয়ে চলাচল করা যায়, এবং ব্যবহার করা যায়। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মতো বড় ডিভাইস ব্যবহার না করেও, আপনি দ্রুত কাজ করতে পারবেন। কাজের সময় কোনও ঝামেলা এড়াতে, মোবাইলের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন, এবং কাজের সময় নির্ধারণ করে নিন।১০। ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য, ভালো মানের মোবাইলের পাশাপাশি, আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আপনার দরকার হতে পারে, যেমনঃ- অতিরিক্ত মেমোরি কার্ডঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফাইল স্টোরেজের জন্য প্রয়োজন হবে।
- ভালো মানের ইন্টারনেটঃ কাজের জন্য দ্রুত ইন্টারনেট আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
- কিছু এক্সটেনশনঃ মোবাইলটা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিছু ফ্রি এক্সটেনশন রয়েছে, আপনি সহজে তা ব্যবহার করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, মোবাইলে এক্সটেনশন ব্যবহার করার জন্য kiwi Browser ব্যবহার করতে পারেন।